Sunday 25 February 2018

Sridevi death ,,sreedevi death

তিনি আর নেই এই পৃথিবীতে।তিনি ছিলেন একজন উচ্চ মানের অভিনেত্রী। মোহিত মারওয়ার বিয়ের অনুষ্ঠানে দুবাই গিয়েছিলেন। দিনটি ছিল শনিবার। গায়ে ছিল হালকা সবুজ রঙের লেহাঙ্গা। আর জাঙ্ক জুয়েলারী হাসি মুখে পার্টি তে ঘুরছিলেন।তার মুখ ছিল বেশ হাসি ময় ‌

হৃদ রোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন দুবাই এ। ভাবতেই অবাক লাগছে যে তিনি আর নেই এই পৃথিবীতে। মাত্র ৫৪ বছর বয়সে তিনি চলে গেলেন।
তার সঙ্গে ছিলেন স্বামী বনি কপূর এবং ছোট মেয়ে খুশি।
 এই ঘটনায় আকস্মিক ভাবে দুঃখিত তার স্বামী এবং গোটা পরিবার।
তিনি শিশু শিল্পী হিসেবে তামিলে প্রথম ছবি করেন।থুনাইয়াভানে প্রথম ।
তার পর বলিউড তার প্রথম ছবি ষোলবা শাড়নাম ১৯৭৯ সালে।

তিনি বহু হিট ছবি করেন। মিস্টার ইন্ডিয়া,সালমা,নাগিন,এই সিনেমা গুলি ব্লকবাস্টার হয়।
২০১৭ তার শেষ ছবি মম খুব কম বাজেটের ছবি ব‍্যবসা করে ছবিটি প্রায় ৬৪ কোটি।
ছোট বেলা থেকে মম এর জার্নি
তার অভিনয় ছিল চোখ ধাঁঁধানো। আনন্দ এ রাইয়ের ZERO ছবিতে অতিথি হিসেবে অভিনয় করতে শেষবারের মতো দেখতে পাব।
শেষ ছবি
দুবাই থেকে শ্রীদেবীর মর দেহ মুম্বাই নিয়ে আসা হবে।
মুম্বাই এ তার শেষ কৃত্য হবে।

Thursday 8 February 2018

Valentine's day in Bengali story (ভ‍্যালেনটাইনস এর ইতিহাস বাংলায়)

প্রায় ১৬০০ বছর আগে রোমান সম্রাট "ক্লডিয়াস"তার সম্রাজ‍্যে বিবাহ নিষিদ্ধ করেন, কারণ কোন ব্যক্তি যদি
বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ থাকে তাহলে সে যুদ্ধ ক্ষেত্রে সম্পুর্ন মনোযোগ দিতে পারবে না কারণ সেই ব‍্যক্তির  সংসার এর প্রতি চিন্তিত থাকবে।এই ছিল রাজা      ক্লডিয়াস এর যুক্তি।
ক্লডিয়াস
      সেই সময়ে সেখানে ভালো মনের "ভ‍্যালেইনটাইন" নামের একজন সাধু সান্ত সম্রাট ক্লডিয়াস এর এই যুক্তি মেনে নিতে পারেনি।

ভ‍্যালেইনটাইন


তাই তিনি ঐ সম্রাজ‍্যের অনেক ছেলে মেয়ের লুকিয়ে লুকিয়ে বিয়ে করাতেন।এই খবর সম্রাট ক্লডিয়াস এর কানে যায় এবং  সম্রাট ভ‍্যালেইনটাইনকে বন্দি করে।

       ভ‍্যালেইনটাইন যে কারাগারে বন্দি ছিলেন সেখানে 
"অ‍্যাসটেরিয়াস" নামে একজন কারারক্ষী ছিলেন । অনেকেই আবার মনে করতেন যে ভ‍্যালেইনটাইন'স এর কাছে কোন মায়া শক্তি আছে, এই খবর কারারক্ষী ও জানতে পারে। সেই কারারক্ষীর এক দৃষ্টিহীন মেয়ে ছিল।
    ভ‍্যালেইনটাইন তার যাদু শক্তি বা মায়া শক্তি অথবা চিকিৎসার মাধ্যমে কারা রক্ষীর মেয়ের দৃষ্টি শক্তি ফিরিয়ে দেয়। এবং এরফলে কারারক্ষীর মেয়ের সঙ্গে
ভ‍্যালেইনটাইন'স এর বন্ধুত্ব হয়। তাঁদের এই বন্ধুত্ব প্রেমে পরিণত হয়।
                 এর ফলে রোমান সম্রাট ক্লডিয়াস ক্রুদ্ধ হয়ে      ভলেইনটাইন'স এর মৃত্যু দন্ড ঘোষণা করে আর মৃত্যু দন্ডের দিন ঠিক হয় ১৪ই ফেব্রুয়ারি।

     ভ‍্যালেইনটাইন'স নিজের ফাঁসির কিছু ক্ষণ আগে কারারক্ষীর কাছে এক টুকরো নিয়ে দার রক্ষীর মেয়ের জন্য একটি পত্র লেখেন। এবং সেই পত্রের শেষের দিকে লেখে ----------------------------------------
                                                   তোমার ই
             ্                                  ভ‍্যালেইনটাইন
১৪ই ফেব্রুয়ারি তাকে ফাঁসি দেওয়া হয়।এতে তাঁর অনুসারীরা খুব দুঃখ পায়।ভ‍্যালেইনটাইন'স এর ফাঁসির
দিনটিকে তারা ভ‍্যালেনটাইন'স ডে বা ভালবাসার দিবস
হিসেবে পালন করে।
 
Valentin's day card
   ভলেনটাইন'স ডে সপ্তাহ

7th- February- ROSE DAY
8th- February- PROPOSE DAY
9th-February- CHOCOLATE DAY
10th-February- TEDDY DAY
11th-February-PROMISE DAY
12th-February-HUG DAY
13th-February-KISS DAY
14th-February-VALENTIN'S DAY

Saturday 3 February 2018

Icc U19 word cup final 2018

অস্ট্রেলিয়া টস জিতে ব্যাট করে। অস্ট্রেলিয়ার পক্ষ থেকে ইনিংস এর শুরু করতে আসে Jack Edwards ও Bryant। প্রথম উইকেট পরে   bryant ১৪(১২)৩২রানে ৫.২ অভারের মাথায় ইশান পোরেল এর বলে।ক‍্যাচ ধরে অভিষেক শর্মা।তার পর  দ্বিতীয় উইকেট পরে  ৫২ রানে Jack Edwards ২৮(২৯)এর।এই উইকেট টিও তুলে নেয়  ইশান পোরেল ক‍্যাচ ধরে কমলেশ নাগরকোটি।

৫৯  রান ১১.৪ অভারে তৃতীয় উইকেট Jason Sangha(c) ১৩(২৪)এর ক‍্যাচ ধরে হারভিক দেসাই বলার ছিলেন নাগোরকোটি।১৩৪ রানে চতুর্থ উইকেট পরাম উপ্পাল৩৪(৫৮)।পঞ্চম উইকেট পরে১৮৩ রানেNathan McSweeney২৩(২৯)ক‍্যাচ &বল শিবা সিং।ষষ্ঠ উইকেট পরে ১৯১(৪১.৩অভারে)Will Sutherland ৫(৮)ক‍্যাচ নেয় হা্র্ভিক দেশাই বল শিবা সিং।সপ্তম উইকেট পরে ২১২রানে ৪৫.৩ অভারে Jonathan Merlo ৭৬(১০২)c শিবা সিং b অনুকূল Roy। অষ্টম উইকেট পরে২১৪ রানে ৪৬.১ ওভারে Zak Evans ১(৩) বল নাগোরকোটি বোল্ড।নবম উইকেট পরে ২০৬রানে ৪৬.৩ ওভারে Baxter J Holt১৩(১৩)রান আউট (শিবা/হার্ভিক)। দশম উইকেট পরে ২১৬ রানে ৪৭.২ ওভারে Ryan Hadley১(৩) বল শিভাম মামি ক‍্যাচ দেশাই। ৪৭.২ ওভারে অষ্ট্রেলিয়ার পুরো টিম অংশ আউট  হয়ে যায়।
Shivam Mavi 1(wk)
Ishan Porel 2wk
Shiva Singh 2wk
K Nagarkoti 2wk
Anukul Roy 2 wk.
ভারতের অপেন করতে আসে পৃথ্বী শ এবং মানজোত কালরা


প্রথম উইকেট এর পতন হয় ৭১ রানে(১১.৪) পৃথ্বী শ ২৯(৪১)বল Will Sutherland বোল্ড। দ্বিতীয় উইকেট এর পতন হয় ১৩১ রানে শুভম গিল৩০(৩১)

Manjot Kalra ১০১(১০২) নট আউট একাই ম‍্যাচের রাশ ধরে থাকে। চোখ ধাঁধানো এক সেঞ্চুরি উপহার দেয় Manjot Kalra.
Harvik Desai ৪৭(৬১)নট আউট‌।দু উইকেট হারিয়ে ম‍্যাচ জিতে মাঠ ছারে মানজোত এবং দেশাই। আর চতুর্থ বারের জন্য ইন্ডিয়া অনুর্ধ ১৯ ওয়ার্ল্ড কাপ জয় করে। টুর্নামেন্টের সেরা হয়েছে Shubman Gill, এবং ম‍্যাচের সেরা Manjot Kalra,


Monday 29 January 2018

"সকলের লাভ হোক এই চিন্তা করুন"

মৃত্যুর পর রতন যমের কাছে গেলে, তিনি(যম) তাকে(রতন)জিজ্ঞেস করলেন স্বর্গ ও নরকের মধ্যে কোথায় তিনি (রতন) যেতে চান।রতন স্বর্গ ও নরক বেছে নেওয়ার আগে জায়গা দুটি দেখে নেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করলেন।যম তাকে প্রথমে নরকে নিয়ে গেলেন। সেখানে একটি বড় টেবিল ঘিরে সারি সারি লোক, টেবিলের উপর অজস্র খাদ‍্যসম্ভার, গান বাজছে, কিন্তু লোকগুলির শুকনো মলিন মুখ, দুঃখি দুঃখি ভাব। তাদের মুখে কোন ও হাসি নেই, এবং সকলেই ক্ষুদার্ত। তাদের হাত দুটি ৪ফুট লম্বা কাঁটা ও ছুরির সঙ্গে বাঁধা। তারা টেবিলের মাঝখান থেকে খাবার নিয়ে মুখে দেওয়ার চেষ্টা করছে, কিন্তু পারছে না।
       তারপর যম সেই ব‍্যক্তি কে স্বর্গে নিয়ে গেলেন। সেখানেও বড় হলঘড়ের মাঝখানে টেবিল এবং টেবিলের মাঝখানে অনেক খাবার। গান বাজছে, টেবিলের দুইদিকে অনেক লোক, এবং তাদেরও হাতে ছুরি-কাঁটা বাধা। কিন্তু সেখানে দেখা গেল লোকগুলির মুখে হাসি। তারা স্বাস্থ্যবান এবং ক্ষুধার্ত নয়। দেখা গেল,তারা ছুরি কাঁটা দিয়ে খাবার তুলে টেবিলের অন্যদিকে যারা আছে তাদের মুখে দিচ্ছে।ফলে প্রত‍্যেকেই খেতে পারছে। ফলে তারা তৃপ্ত স্বাস্থ্যসমৃদ্ধ, খুশি ও সন্তুষ্ট। কারণ তারা শুধু নিজেদের কথা ভাবছে না ; তারা শুধু নিজেরাই খেতে চাইছেনা,অন্যেরাও খেতে পারুক ,তাও চাইছে।এটি আমাদের জীবনের ক্ষেত্রেও সত‍্য। আমরা যখন খরিদ্দারদের,পরিবারের, নিয়োগকর্তার এবং কর্মচারীদের প্রয়োজন মেটাই,তখন আমরা লাভই করি।

Sunday 28 January 2018

"অপরকে বোঝবার চেষ্টা করুন এবং তার সম্পর্কে মনোযোগ দিন"

পারস্পরিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে আমরা অনেকসময় ভুল করি, আবার কখনও কখনও যারা আমাদের ঘনিষ্ঠ তাদের প্রয়োজন সম্পর্কে অমনযোগী হয়ে উঠি। এতে হতাসা ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। হতাশাকে দূর করতে হলে অপরকে বোঝাবার চেষ্টা করা উচিত
      মানুষের মধ্যে যে সম্পর্ক গড়ে ওঠে তার কারণ হল মানুষ পরস্পরকে বুঝতে চায়। পারস্পরিক সহানুভূতিই সমস্ত সম্পর্কের ভিত্তি।
        অপরের প্রতি বিশেষ আগ্রহশীল হলে এবং তার প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলে যে পরিতৃপ্তি পাওয়া যায় সেটা কেবল একজন ভালমানুষ হলে পাওয়া যায় না। অপরের প্রতি আগ্রহী ও যত্নশীল ব‍্যক্তি এমন একটা সুনাম সৃষ্টি করেন যে তার নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়।এবং এতে তার কিছু খরচা হয় না। 
কিছু কিছু মানুষ মনে করেন অর্থ মানুষের সঙ্গে বোঝাপড়ার এবং যত্ন ও আগ্রহের সম্পর্কের প্রতিকল্প। কিন্তু মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক অর্থের থেকে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। অপরকে যথার্থ রূপে বুঝতে পারলেই নিজেকে অপরের নিকট বোঝানো যায় এবং এই বোধ পারস্পরিক যোগাযোগের ক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।
                   
ঔদার্য  অনুশীলন করুন:- 
                           ঔদার্য ভাবগত পরিপক্কতার লক্ষন।চিন্তাশীল ও বিবেচক ব‍্যক্তিরাই উদার হতে পারেন। উদার ব‍্যক্তিরা জীবনের ঐশ্বর্য উপভোগ করতে পারেন,যা একজন  স্বার্থপর ব‍্যক্তির কল্পনার বাইরে।
  বিবেচক হন:-
             স্বার্থপরতা প্রতিহিংসা আহ্বান করে। অপরের অনুভূতির প্রতি সংবেদনশীল হোন।

কৌশলী হোন:
              যেকোনো সম্পর্কের ক্ষেত্রেই কৌশল প্রয়োজন। "কৌশল" এর অর্থ হচ্ছে অন্যদের সহানুভূতি না হারিয়ে নিজের বক্তব্য প্রতিষ্ঠা করা।
দয়ালু হন:-
       টাকা দিয়ে একটি ভালো কুকুর কিনতে পারেন কিন্তু তার প্রতি দয়া না দেখালে সে লেজ নাড়বে না। অপরের প্রতি করুণা প্রদর্শনে দেরি করা উচিত নয়। করুণা এমন একটি ভাষা যা বধিরও শুনতে পায়,অন্ধ ও দেখতে পারেন। জীবনবস্থায় একজন বন্ধুকে করুণা দেখানো প্রয়োজন, মৃত্যুর পর তার সন্মানে ফুল দিয়ে করুণা দেখানো অর্থহীন।কোনও দয়ার কাজ গ্রহণকারীকে প্রফুল্ল করে। সহৃদয় কথাবার্তায় জিহ্বা আহত হয় না।


Friday 26 January 2018

"রাগ পোষণ করবেন না,ক্ষমা করুন এবং ভুলে যান"

জঞ্জাল সংগ্রহকারী হবেন না। অনেকে বলেন,আমি ক্ষমা করছি, কিন্তু আমি ভুলব না।ফলে মনে অনেক জঞ্জাল জমে ওঠে।
যখন কেউ ক্ষমা করতে চায় না,সে তখন মনের দরজা বন্ধ করে দেয় যে দরজা একদিন হয়ত খুলতে হতে পারে।যখন আমরা রাগ পোষণ করি,ক্ষোভ পুষে রাখি তখন আমরা কাকে আঘাত করি? আমাদের নিজেদেরকেই।
রাম এবং রতন ছেলেবেলার বন্ধু; কিন্তু কোনো এক কারণে তাদের সম্পর্ক খারাপ হয়ে যায় এবং তারা ২৫ বছর ধরে কেউ কারুর সঙ্গে কথা বলেনি।রতন যখন মৃত্যুশয্যায় তখন ভাবলো যে এরুপ গভীর দুুঃখ নিয়ে স্বর্গে যাবনা।রামকে ডেকে
সে মাপ চেয়ে নিয়ে বলল ,"এস আমরা পরস্পরকে ক্ষমা করি, এবং অতীতকে ভুলে যাই।"
রাম ভাবল মন্দ  প্রস্তাব নয়, এবং সে(রাম) রতনকে হাসপাতালে দেখতে যেতে মনস্থ করলেন।
তারা ২৫ বৎসরের অদর্শনের পর নিজেদের মনোমালিন্য মিটিয়ে এবং  এক সংঙ্গে কাটার।রাম যখন চলে আসছিল তখন রতন পিছন থেকে বলল,"রাম,যদি আমি মারা না যাই তাহলে এই ক্ষমার কোনো মূল‍্য থাকবে না।"জীবন রাগ পোষণ করার মতো দীর্ঘ নয় রাগ পোষণ অর্থহীন।